অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-জ্বালানি চান ব্যবসায়ীরা
দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ তথা জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার চাহিদার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বড় বড় শিল্পকারখানায় বিনিয়োগ আসছে। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও সাপ্লাই চেইনে বিনিয়োগ বাড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের শেষ দিন ‘ইনভেস্টিং ইন ইকোনমিক জোনস: প্রগ্রেস অ্যান্ড প্রায়োরিটি অপরচুনিটিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদার কথা জানান।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে৷ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইপিজেএডকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রোডাক্টে বিনিয়োগ আনতে হবে৷
ডান অ্যান্ড ব্রাডস্ট্রিট সামের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাজেশ মিরচান্দানি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো নয়। বাংলাদেশকে অবশ্যই অবস্থার উন্নতি করতে হবে। যদিও এ সূচক পরিমাপের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির সিইও নকিব খান বলেন, ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। আমাদের জন্য সাপ্লাই চেইন এখন বড় চ্যালেঞ্জের। এ খাত ছাড়াও লজিস্টিক সাপোর্টেও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ইকোনমিক জোন আছে। কিন্তু এর বাইরেও উন্নতি করতে হবে। বিমানবন্দরের উন্নতি করতে হবে। ওয়ার হাউজের নিয়ম অনেক পুরনো। কাস্টমস এবং ওয়ারহাউজের আইন অন্যান্য দেশের মতো সংস্কার করে আধুনিক করতে হবে। এতে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
তিনি বলেন, রেল বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কার্গো পরিবহনে রেলকে কাজে লাগাতে হবে। ১৫ বছর ধরে এয়ারপোর্টে প্রফেশনাল স্ক্যানার নেই। এটা নিয়ে আমরা বলে আসছি। কিন্তু তারপরও কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।