আজও ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ শিমুলিয়াতে
৩১ মে থেকে অফিস খোলার ঘোষণায় শিমুলিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ব্যক্তিগত যানবাহন আর যাত্রী পারাপারে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়ায় কর্মস্থলমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিই এখন পদ্মা পারি দেয়ার একমাত্র নৌযান। তাই গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করেই পদ্মা পারি দিচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চরম দুভোর্গের মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে ১৫টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলো একের পর এক যাত্রী ও যানবাহন পার করছে।
এদিকে সকাল থেকে পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। প্রচুর বাতাস হচ্ছে। এর মধ্যেই কাঁঠালবাড়ী থেকে ফেরিগুলোতে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে শিমুলিয়ায় আসছে। সেখানে থেকে এসব মানুষ নানাভাবে ছুটছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। এখনও গণপরিবহন চালু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানবাহন না পেয়ে মাথায় ব্যাগসহ ছোট ছেলে-মেয়ে কোলে নিয়ে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছে কেউ কেউ।
এছাড়াও গাদাগাদি করে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়ায় সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, পিকআপ, ট্রাক, ছোটগাড়ি কিংবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছে যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন জানান, ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। কার আগে কে ফেরিতে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত যাত্রীরা।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, স্পিডবোড কিংবা ট্রলার পদ্মায় চলছে না। আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। সার্বক্ষণিক নদীতে অভিযান চলছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে।