বিচিত্র

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মরিচ ফলালেন নভোচারীরা!

নভোচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) জন্মানো মরিচগাছ থেকে প্রথম ফসল তোলা হয়েছে। টুইটারে ছবি পোস্ট করে সে খবর জানায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘প্ল্যান্ট হ্যাভিটেট-০৪’ শীর্ষক গবেষণার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে মরিচ ফলানো হয়।

নাসার টুইটের পর মার্কিন নভোচারী মেগান ম্যাকআর্থার তাঁদের অর্জন নিয়ে আরেকটি টুইট করেন। তিনি এখন আইএসএসে কর্মরত। মেগানের পোস্ট থেকে জানা যায়, মহাকাশে জন্মানো মরিচ থেকে মেক্সিকান পদ টাকো বানিয়েছেন তাঁরা। সেটার স্বাদও নিয়েছেন আইএসএসের নভোচারীরা।

ছবির ক্যাপশনে মেগান লেখেন, ‘ফ্রাইডে ফিস্টিং। ফসল তোলার পর লাল ও সবুজ মরিচের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে আমাদের। এরপর আমরা জরিপ করি। যাক, শেষ পর্যন্ত আমি আমার সেরা মহাকাশ টাকো বানিয়েছি। এতে ছিল ফাজিতা বিফ, রিহাইড্রেটেড টমেটো ও আর্টিচোক এবং আবাদের মরিচ।’

সে টুইটের পর অনেকেই বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মহাকাশে জন্মানো উদ্ভিদের ফসল নিয়ে প্রশ্ন করেন অনেকে। মহাকাশে ফসল ফলানোর প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন মাধ্যাকর্ষণের অভাবে কীভাবে টাকোর ভেতরের উপাদানগুলো একসঙ্গে জুড়ে ছিল।

এক ব্যবহারকারী টাকো তৈরির ভিডিও দিতে বলেছেন। তিনি লিখেছেন, টুকরাগুলো না ছড়িয়ে মরিচ কুচি করলেন কীভাবে?

আরেক ব্যবহারকারী বিশাল এক টাকোর অ্যানিমেটেড ছবি দিয়েছেন, যেটি মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। ক্যাপশনে লেখেন, তো আপনি কি বলতে চাইছেন এই টাকো দুনিয়ার বাইরের (আউট অব দিজ ওয়ার্ল্ড)?

আরও মজার সব কমেন্ট এসেছে। একজন বলেছেন, মহাকাশে জন্মানো মরিচ পৃথিবীতে নিলামে অনেক দামে বিক্রি হতে পারে। সঙ্গে যোগ করেন, এর দাম এত হতে পারে যে গোটা মহাকাশকেন্দ্র হয়তো নতুন করে গঠন করা সম্ভব হবে।

আরেকজন কেবল মরিচে সন্তুষ্ট নন। মজা করে বলেছেন, আইএসএসে মুরগির খামার করা উচিত। মুরগি থেকে ডিম, ডিম থেকে মুরগি—এভাবে নাকি নভোচারীদের খাবারের চাহিদা মেটানো যেতে পারে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − one =

Back to top button