আফগান ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের ভাবনা
গতকালই তালেবান কাবুলে প্রবেশ করেছে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়েছেন। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তালেবানের এই অগ্রযাত্রা দেখেই অনেকেই হতাশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনী যদি দেশটির নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারে তাহলে আমেরিকান সৈন্য এক বছর কিংবা পাঁচ বছর থাকলে তাতে কোনো যায় আসবে না।”
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, “একটা দেশের মধ্যে এভাবে মার্কিন সৈন্যের অবস্থান আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জামির কাবুলভ জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো, “দিল্লি কাবুলের দূতাবাস বন্ধ রাখবে না। তবে দূতাবাস খালি করার কাজ চলছে। এদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকার পরিকল্পনা করছেন।
ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বিগ্ন তারা। তবে তারা কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে না। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রিয়া এবং সুইডেনও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কঠিন আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে এখনই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং কোনো চুক্তি ছাড়া আফগানিস্তানে গঠিত কোনো সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।”