আমাদের কোনো শাখা নেই, গণমাধ্যমে ইভ্যালির বিবৃতি
বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানিকগঞ্জে ৩৯ লাখ টাকাসহ ইভ্যালির স্থানীয় ম্যানেজার আটকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইনে সংস্করণে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমাদের নজরে আসে। সংবাদের বিষয় অনেকটা এরকম যে, ‘মানিকগঞ্জে অবস্থিত ইভ্যালির একটি শাখা থেকে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এদের সাথে মূল অভিযুক্ত ইভ্যালির মানিকগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক’।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইভ্যালির ‘মানিকগঞ্জ শাখা’ বলতে আমাদের কোনো শাখা নেই। এ ধরনের কোনো শাখার কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশে ইভ্যালির একটি কার্যালয় আর সেটি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত অফিস। একই সাথে উল্লেখ থাকছে যে, ইভ্যালির ‘শাখা ম্যানেজার’ পদবীয় ব্যক্তিসহ আরও যে দুজন ব্যক্তিকে আটকের তথ্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না। তারা ইভ্যালির কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা নন। আটককৃতদের কাছ থেকে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কোনো বৈধ নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, আপাততদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা ইভ্যালির প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে মাত্র। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, পুরো বিষয়টির সঙ্গে ইভ্যালির কোনো ধরনের যোগসূত্র বা সম্পৃক্ততা নেই। ইভ্যালির মতো একটি দেশীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করাও এ ধরনের অপরাধের পেছনে উদ্দেশ হিসেবে থাকতে পারে। আমরা এই ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সাধুবাদ জানাই যে তারা এমন একটি অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় এনেছেন। পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন সচেতন থাকেন এবং বিভ্রান্ত না হন আমরা সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বিবৃতিতে ইভ্যালির পক্ষ থেকে অনুরোধ করে আরও বলা হয়ে, উপরোক্ত বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে, প্রকাশিত সংবাদে সংশোধনী আনা হোক অথবা আমাদের বক্তব্যটি আরেকটি সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হোক। এ বিষয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করে ইভ্যালি।