আশ্রয়কেন্দ্রের ঘরের পলেস্তারা, ঢালাই উঠে যাচ্ছে আঙ্গুলের খোঁচায়!
আঙুলের খোঁচায় নবনির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের দেয়ালের পলেস্তারা আর মেঝের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। পটুয়াখালীর বাউফলে আশ্রয়কেন্দ্রের ঘর হস্তান্তরের আগেই এমন বেহাল ঘটনা স্বীকার। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, “কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা ইসমাইলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একটি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দুই কোটি ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।”
এর আগে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আল আমিন সিকদার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ ওঠে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ভরিপাশা ইসমাইলিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ফেরদৌস ভুট্টো বলেন, “ব্যাপক অনিয়মের মধ্যেই ভবনটির নির্মাণকাজ শুরুর হয়। একাধিকবার অভিযোগ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিল স্থগিত করে দেয়। এর পর আবার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। তিন বছর আগে প্রকল্পটির মেয়াদকাল শেষ হলেও ঠিকাদার কয়েকদফা সময় বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে দেয়ালের পলেস্তারা আর মেঝের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। কয়েকটি কক্ষের দেয়ালে ফাটল ধরেছে।”
অনিয়মের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শামিম সিকদার বলেন, “নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, “ভবনটির নির্মাণকাজে অনিয়মের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”