ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ব্যবসায়ীর ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই
এসআই ও কনস্টেবল গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ী থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক কনস্টেবলকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় আত্মসমর্পণের পর সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দেহরক্ষী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সোর্সসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গাড়িচালক আবু জাফর।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার আসামি এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের খুঁজছে পুলিশ।’
পুলিশ জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর জামালপুর থেকে গাড়ি কেনার জন্য প্রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে সীতাকুণ্ড আসেন গাড়িচালক আবু জাফর। দামে মিল না হওয়ায় তিনি গাড়ি না কিনেই ফিরে আসছিলেন।
আবু জাফর যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গাড়ি কেনার জন্য যান এবং দরদাম করেন সেখান থেকেই তাকে টার্গেট করে পুলিশের তিন সোর্স। তারা টের পেয়ে যায় আবু জাফরের কাছে নগদ টাকা রয়েছে।
আবু জাফর গাড়ি না কিনে জামালপুরে ফেরার জন্য প্রথমে সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। সেখানে পুলিশের তিন সোর্স গিয়ে নিজেদের গোয়েন্দা বিভাগের লোক পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁর কাছে ইয়াবা আছে বলে অভিযোগ করে। একপর্যায়ে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তখন তিন সোর্স আবু জাফরকে নিয়ে একটি দোকানে বসায় এবং অন্য দুই পুলিশ সদস্য এসআই সাইফুল ও কনস্টেবল সাইফুলকে খবর দেয়। তখন তাঁরাও সেখানে চলে আসেন।
তখন সবাই মিলে অভিযোগ করতে থাকে যে, আবু জাফরের কাছে যে টাকা আছে সেগুলো ইয়াবা বিক্রির টাকা। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। তারপর আবু জাফরকে একটি গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িতে করে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানো হয় এবং তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা পুলিশ সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়ে নেন। তারপর তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকাগামী একটি গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু আবু জাফর বাড়ি না ফিরে সীতাকুণ্ড থানায় যান এবং সেখানে গিয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সীতাকুণ্ড থানাকে নির্দেশ দেয়।