‘ইহুদিদের বন্ধু বানিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে প্রতারণা করল আমিরাত’
মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তিতে পৌঁছানোর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত যে বন্ধুত্ব করেছে, তা ইসলামি বিশ্ব এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমান। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, আমিরাত সরকারের এই প্রতারণা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। যদিও এই অসম্মান মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। কেননা তারাই প্রথম ফিলিস্তিনকে ভুলে ইহুদি শাসকগোষ্ঠীকে মুসলিমদের জন্য নির্মিত এই অঞ্চলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছেছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের এই বিতর্কিত চুক্তিতে পৌঁছানোর পর সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রথমবারের মতো আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক বিমান চলাচল শুরু হয়েছে।
মার্কিন ও ইসরায়েলি শীর্ষ এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে তেলআবিব থেকে আবু ধাবিতে দু’দিনের সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন ও ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিইর বেন-শাব্বাত।
মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের দু’দিনের এই সফরে ওয়াশিংটনে আগামী মাসের মাঝের দিকে নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
সোমবার তিন দেশের যৌথ এক বিবৃতিতে গত ১৩ আগস্ট চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘটনাকে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা এবং সমৃদ্ধির জন্য সাহসী এক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল।
সূত্র : খালিজ টাইমস