ক্রিকেটখেলাধুলা

এ কেমন আচরণ মুশফিকের!

ক্রিকেট খেলায় মাঠে ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। তাতে অধিনায়করা সতীর্থদের বকা দিতেই পারেন। তাই বলে মারমুখী হয়ে তেড়ে আসার দৃশ্য দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে দেখা গেলো এমন অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটাতে।

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটরে ফরচুন বরিশালের ইনিংসে সতীর্থের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক ও উইকেটকিপার।

শুধু একবার নয়, দুইবার বল নিয়ে মুশফিক তেড়ে গেছেন সতীর্থ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের দিকে। মারতেও উদ্যত হয়েছেন; সঙ্গে চোখ-মুখে রাগ তো ছিলই। ১৩ ও ১৭তম ওভারের এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে মিরপুর শের-ই-বাংলায় স্টেডিয়ামে। প্রথমবার আফিফ হাসানের কাছে ছক্কা হজম করার পরের বলে নিজেই বল আটকাতে যান বাঁহাতি স্পিনার। একই সময়ে মিড উইকেটে দৌড় দেন মুশফিকও। বল হাতে নেওয়ার সময় দুইজনই একসঙ্গে জড়ো হন, তাতে বোলিং প্রান্তে আউটের সুযোগ হয়নি। বোলিং প্রান্ত ছেড়ে আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুশফিক নাসুমের দিকে বল হাতে তেড়ে যান। পরবর্তীতে বিরক্তিমুখে বল তুলে দেন নাসুমের হাতে। 

১৫০ রান তাড়ায় আফিফের ব্যাটে জয়ের আশায় ছিল বরিশাল। ঢাকার জন্য তার উইকেটটি খুব প্রয়োজন ছিল। শফিকুল ইসলামের বলে সেই সুযোগটি আসে ১০৬ রানে। ৫৫ রান করা আফিফ স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শর্ট ফাইন লেগে। মুশফিক কিপিং থেকে সরে খুব সহজেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন। সেখানে ফিল্ডিং করা নাসুমও ক্যাচ নিতে চেষ্টা চালান। তাতে ক্যাচ নেওয়ার পর দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুশফিক আবার তার দিকে ক্ষেপাটে আচরণ করেন। এবার প্রায় ঘুষি মারতে তেড়েই গিয়েছিলেন উইকেটকিপার। 

মুশফিকের এমন আচরণের মুখোমুখি হকয়ে দুইবারই হতবাক হয়ে যান নাসুম, বেশ বিমর্ষ লাগছিল তাকে। দল তখনও না জেতায় নিজের কষ্ট হয়তো চেপেই রেখেছিলেন। অবশ্য দুইবারই উদ্যত হওয়ার পর নাসুমের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে দেখা গেছে মুশফিককে। 

হারলেই বিদায়, এই সমীকরণের ম্যাচে ঢাকা জিতেছে ৯ রানে। কিন্তু মিরপুরের সবুজ গালিচায় মুশফিক যা করেছেন তা ক্রিকেট চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + twenty =

Back to top button