করোনাভাইরাসখেলাধুলাফুটবল

এবার নিলামে ম্যারাডোনার বিশ্ববিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি

এর আগেও ম্যারাডোনার জার্সি নিলামে তোলা হয়েছিল করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাহায্যার্থে। তবে সেগুলোর সবই ইতালিতে। ইতালিয়ান ন্যাপোলিতে যে সব জার্সি পরে খেলতেন ম্যারাডোনার তার মধ্যে অন্তত তিনটি নিলামে তোলা হয়েছিল ভিন্নভিন্নভাবে।

এবার খোদ ম্যারাডোনার বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি দান করা হলো তার দেশ আজেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য। শুধু জার্সিই নয়, ম্যারাডোনার অটোগ্রাফও থাকছে সেই জার্সিতে। আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে, জার্সিটি নিলামে তুলছেন স্বয়ং ম্যারাডোনা নিজে।

ঠিক নিলামে নয়, ম্যারাডোনার জার্সিটি দেয়া হলো লটারির জন্য। প্রথমে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল নিলামে তোলার জন্য। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেয়া হলো লটারির জন্য।

এই জার্সি জিততে হলে আগ্রহী ব্যক্তিদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর পণ্য, মাস্ক এবং ১০০ কেজি খাদ্যপণ্য কেনার টাকা দিতে হবে। যারা এই চ্যারিটিতে যুক্ত হবে, তাদের মধ্য থেকে লটারি করেই একজনকে দেয়া হবে ম্যারাডোনার এই জার্সি।

লটারি থেকে প্রাপ্ত অর্থ, খাদ্য কিবা অন্যসব পণ্য বিতরণ করা হবে বুয়েন্স আয়ার্সের শতরতলির একটি সুবিধাবঞ্চিত এলাকায়। করোনার কারলে লকডাউনে পড়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে সেই এলাকার বাসিন্দারা।

‘আমরা এর মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই’- নিজেই জার্সির মধ্যে এই কথা লিখে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। একই সঙ্গে দিয়েছেন অটোগ্রাফ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ে যে জার্সি পরে খেলেছেন, সেই জার্সিগুলোর একটিই তিনি দিয়েছেন লটারির জন্য।

মার্তা গুতিয়েরেচ নামে বুয়েন্স আয়ার্সের এক নাগরিক বলেন, ‘ম্যারাডোনা নিজেও জানেন না যে, তিনি আমাদের কি দিয়েছেন। এটার কোনো মূল্য হয় না। আমি মৃত্যু পর্যন্ত তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।’

মূলতঃ করোনাভাইরাসের কারণে আর্জেন্টিনা এরই মধে মহা অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে গেছে। দেশটিতে কোটির ওপর মানুষ বেকারত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + five =

Back to top button