হোম সিরিজে খেলার পর পেয়েছেন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসর সময়টাতেই এক অন্যরকম মোস্তাফিজের দেখা মিললো। তবে স্টেডিয়ামে নয়, পুকুর পাড়ে।
কিন্তু সেখানেও কাটারমাস্টারকে একজনজর দেখতে ভক্তদের ভিড়। তবে এবার শুধু তাকে নয়, তার বড়শিতে ধরা পড়া মাছ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন জানিয়েছে, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামে বসেছিল মাছ শিকারের আসর। মোস্তাফিজকে পুকুরে মাছ ধরার আমন্ত্রণ জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তার আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই আসেন ‘ফিজ’।
বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের উইকেট শিকারের পাশাপাশি মাছ ধরতেও যে তিনি সিদ্ধহস্ত, মোস্তাফিজ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রীতিমতো হিরো বনে গেলেন তিনি।
দলবল নিয়ে মঙ্গলবার মাছ ধরতে দিব্যি ছিপ ফেলেন ফিজ। তার বড়শিতে এবার বড় উইকেটের (মাছের) পতন। অনেক ধস্তাধস্তির পর বড়শি টেনে পারে তোলার পর দেখা গেল ধরা পড়েছে বিশাল আকারের পাঙ্গাশ। মেপে মেপে ১২ কেজি ওজন। শুধু পাঙ্গাস ধরেই দমে যাননি মোস্তাফিজ। আট কেজি ওজনের রুই মাছও ধরেন। বড় বড় আরও কয়েক প্রজাতির মাছ ধরা দেয় বোলিং বিস্ময়ের বড়শিতে।
এদিকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আসছেন মোস্তাফিজ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মুহূর্তেই সেখানে শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একসময় উৎসুক জনতার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তালা থানার পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
পরে মাছ ধরা শেষে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন মোস্তাফিজ। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসী ও ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং আড্ডা দিয়েও সময় কাটান ‘ফিজ’।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন, থানার সেকেন্ড অফিসার সেকেন্দারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। বিকাল ৫টার দিকে আনন্দ আয়োজন শেষ করে নিজ বাড়িতে ফিরেন জাতীয় ক্রিকেট দলের এই পেস সেনসেশন।