করোনা মোকাবিলায় সরকারকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জেএসডি’র
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সরকারকে মেকি আত্মম্ভরিতা ও একনায়কসুলভ মনোভাব পরিহার করে দ্রুত জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব শুক্রবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। আমাদের মতো দেশে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ মাত্রায় গেলে আমাদেরকে অনেক মূল্য দিতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে কমিউনিটি সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং তখন এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
জেএসডি সভাপতি বলেন, এখনও সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাছাড়া সরকারের প্রকাশ করা মৃতের সংখ্যা নিয়েও দেশবাসীর মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে আনছে। করোনা বিস্তার প্রতিরোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা এবং এদের কর্মসংস্থান করাই বাংলাদেশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ, কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, লকডাউন কার্যকর করাসহ কোনোক্ষেত্রেই সরকার সফল হতে পারছে না। এর মূল কারণ সরকারের মেকি আত্মম্ভরিতা, নিজ সক্ষমতা মূল্যায়নে ব্যর্থতা এবং একনায়কসুলভ মনোভাব।
আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকারের একলা চলো নীতি করোনা সংকটকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সুতরাং সংকটের এই পর্যায়ে অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত পরামর্শ দিয়েছে জেএসডি-
১. করোনা বিস্তার রোধ, নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা সেবা জোরদারকরণসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদদের দ্বারা এক্সিট প্ল্যান তৈরি করতে হবে।
২. করোনার আর্থ-সামাজিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবসায়ী সমিতি, কর্ম পেশার সংগঠন, অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের নিয়ে বিশেষ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
৩. সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার ও পেশাজীবীদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কর্মহীন দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে উপজেলাভিত্তিক শিল্পাঞ্চল ও কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।