মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ভেন্টিলেটরসহ আরও চিকিৎসা সামগ্রী দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অঙ্গীকার পূণর্ব্যক্ত করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসুগলো।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠককালে এ অঙ্গীকার পূণর্ব্যক্ত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরো ভেন্টিলেটর ও মাস্কসহ করোনা চিকিৎসা সামগ্রী প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র শিক্ষা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারকরণসহ দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয় ।
দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশের সম্পর্কের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এসময় মেভলুত চাভাসুগলো। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যে পরবর্তী FOC ( Foreign Office Consultation) ও JEC (Joint Economic Commission) এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন মেভলুত চাভাসুগলো। . অত্যন্ত আন্তরিক ও ফলপ্রসু এ আলোচনায় ডি-৮ এর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষন করেন।
উভয় দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের অধিকারের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এসময় ফিলিস্তিনের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি ড. মোমেন তুলে ধরেন।