করোনাভাইরাসশিল্প ও বাণিজ্য

কারখানা লকডাউন হবে একজন গার্মেন্টসকর্মী আক্রান্ত হলেই!

কারখানার প্রবেশের সময়, কাজ শেষে বের হওয়ার সময়, কারখানায় কাজ করার সময় এবং শ্রমিকদের বাসস্থানের ঘরটি যাতে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়; তার জন্য কারখানার পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিকদের সতর্ক হতে বলেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার।

কারখানার মালিকদের এসপি শামসুন্নাহার বলেন, অনেক কারখানায় সামাজিক দূরত্ব আছে। কিন্তু অনেক শ্রমিক একবার হাত ধুয়ে কাজে যোগদান করছেন, সেটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। কাজের ফাঁকেও কিন্তু হাত চোখ, নাক ও মুখে চলে যায়। কাজেই সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বারবার হাত ধোয়ার প্রতি জোর দিতে হবে।

রোববার (০৩ মে) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে হ্যামস গার্মেন্টস পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। শ্রমিকরা কারখানার বাইরে থাকুক আর ভেতরে থাকুক একজন আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

শ্রমিকদের বেতনভাতা সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বেশির ভাগ কারখানা শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি, যে অনেক কারখানা বেতন দেয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার ব্যবস্থা করছি।

শ্রমিক ছাঁটাই সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিচ্ছেন। আমরা মালিকদের অনুরোধ করে বলতে চাই, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করুন। কারণ এই দুর্যোগ থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের সবার দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + three =

Back to top button