Lead Newsজাতীয়

কিছু নিতে আসিনি, জন্মভূমিকে দিতে এসেছি: ড. বিজন শীল

ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ‘আমি এখন বাংলাদেশের নাগরিক নই। কিন্তু, বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। জন্মভূমিকে দিতে এসেছি, আমি এখান থেকে কিছুই নিতে আসিনি। আমি থাকলে এ দেশের কিছু হারানোর আশঙ্কা নেই, বরং পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’ সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকরণ কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন।

ড. বিজন শীল আরো বলেন, ‘আমি আমার মূল্যবান পেটেন্ট এ দেশকে দিতে এসেছি। তাও যদি নিতে না পারে, তাহলে তো আমার কিছু করার নেই।’

সম্প্রতি ড. বিজন কুমার শীলের নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কিছুদিন আগে ড. বিজন শীল বলেন, ‘২০০২ সালে সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করি। সিঙ্গাপুরে চাকরি নেওয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম, যেটা ওখানকার নিয়ম। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছিলাম। আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।’

অন্যদিকে ড. বিজন শীলের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকরণ কিটের অনুমোদন এখনো দেয়নি বাংলাদেশ।

১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া নাটোরের কৃষক পরিবারের সন্তান ড. বিজন কুমার শীল বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হয়েছিলেন ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভেটেরিনারি সায়েন্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাস করেছিলেন। অনুজীব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। কমলওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সারে থেকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সুপরিচিত গবেষক ও অনুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের (অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি) বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান। তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। বাংলাদেশে তাঁর কর্ম ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১ জুলাই। তিনি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে তিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় দেশে অবস্থান করছেন। তাঁর ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ এক বছর।

বিজন কুমার শীল বলেন, ‘কিছু গুজব বের হচ্ছে। গণবিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে- এসব কথা ঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা করছে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা পাসের জন্য। এটা না আসা পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে অসংখ্য বিদেশি চাকরি করেন। তাঁদের যদি সমস্যা না হয়, তাহলে আমার সমস্যা হবে কেন? এমপ্লয়মেন্ট ভিসা নিতে হবে। সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটার বিষয়ে উত্তর এখনো আসেনি।‘

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − four =

Back to top button