কোভিড-টিকা গ্রহনে অনিচ্ছুক এক তৃতীয়াংশ মার্কিন সেনাসদস্য
কোভিড-টিকা গ্রহণ ‘বাধ্যতামূলক’ না করায় এখনো টিকা নেননি অনেক মার্কিন সেনাসদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের এক শুনানিতে দেশটির উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জেফ তালিয়াফেরো জানিয়েছেন, এক তৃতীয়াংশ সেনাসদস্যকে এখনো টিকার আওতায় আনা যায়নি। খবর এএফপি
কংগ্রেস শুনানিতে তালিয়াফেরো বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত দেশের মোট দুই তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য করোনা টিকা নিয়েছেন।’
পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেনাবাহিনীর মোট ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ সদস্য টিকা নিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ আগামী রোববারের মধ্যে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে পেন্টাগন কর্মকর্তারা প্রত্যাশা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ সেনাসদস্য টিকার আওতার বাইরে আছেন, সে তথ্য জানাননি জন কিরবি।
টিকা নেওয়ার ব্যাপারে সেনাসদস্যদের অনীহার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জন কিরবি বলেন, ‘আমাদের সেনাসদস্যদের মানসিক গঠন আসলে দেশের জনগণের মতোই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে কয়েকবার টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতার বিষয়ে সেনা সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।’
‘কিন্তু সরকারি ঘোষণায় যেহেতু বলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে টিকা ব্যবহার করা যাবে, তাই তারা ভাবছেন, শারিরীকভাবে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইতোমধ্যে করোনা টিকা নিয়েছেন এবং সব সেনাসদস্যকে টিকার আওতায় আনার বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পেন্টাগন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে উল্লেখ করেছেন কিরবি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কর্মরত সকল নারী ও পুরুষ সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স কোভ২ নভেল করোনাভাইরাস। এরপর ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।
চলমান এই মহমারির শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করেনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, দেশটিতে করোনায় আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ এবং এ রোগে এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৫ লাখ ২ হাজার ৫৪৪জন।