ভ্রমন

খুলেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন স্পট, তবে পর্যটক কম

তিন পার্বত্য জেলার মাদার ডিস্ট্রিক ও পুরাতন জেলা রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি রয়েছে অনেক পুরাতন দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও জেলার মধ্যে রয়েছে বিনোদনমূলক বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি পর্যটক স্পট।আর এসব পর্যটন স্পটগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে থাকে।

কিন্তু এবার কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কবলে পর্যটক একদম কম। গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ আনুষ্ঠানিক ভাবে রাঙ্গামাটি পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু করোনা আতংকে পর্যটক আসছে না। স্থানীয় কিছু লোকজন সীমিত পরিসরে পর্যটক স্পটগুলোতে দেখা গেছে।

সোমবার বিকালে সরেজমিনে পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, হাতেগোনা কয়েকজন স্থানীয় পর্যটক ঘুরাঘুরি করছে। তাও স্বল্প সময়ের জন্য তারা ঘর থেকে বের হয়েছে। স্থানীয় পর্যটক সাথী ও শারমিন জানান, করোনাকালিন দীর্ঘ দিন ঘরে আবদ্ধ থাকার পর ছেলে মেয়েরা বায়না ধরেছে তারা পুলিশ পলওয়েল পার্ক ও জেলা প্রশাসকের পার্কে বেড়াতে যাবে, তাই তাদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। আমরা ছাড়া তেমন কোন লোকজন দেখতে পারছিনা। মনে হয় করোনার ভয়ে পর্যটন স্পটগুলো লোকজন আসছে না।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গত সপ্তাহে সকল পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।যারা পর্যটন স্পটগুলোতে বেড়াতে আসবেন অবশ্যই সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

জেলা প্রশাসক পার্কের কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা ও পুলিশ পলওয়েল পার্ক কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা বলেন,পর্যটকের আনাগোনা একদম কম,তাই টিকেট ক্রেতা নেই বললেই চলে। সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারে কিছু পর্যটক আসে।আর বাকি ৫ দিন পর্যটক সংখ্যা একেবারে কম। এই অবস্থা চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে প্রতিদিন।

রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স করোনাকালিন সময়েও খোলা ছিল। কিন্তু পর্যটক আনাগোনা ছিল না এবং ঐতিহ্যবাহী ঝুলন্ত ব্রিজ এ প্রবেশ নিষেধ ছিল। গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিয়েছে। তবে আশানুরূপ পর্যটক আসছে না। স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত ব্রিজে ঘুরতে আসে। বাহিরের লোকজন ব্যাপক হারে না আসলে পর্যন্ত শিল্পে চরম ধস নেমে আসবে।তবে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের ভয়ে দূরের পর্যটক আসছে না।

আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ি সমিতির অর্থ-সম্পাদক ও হোটেল গ্রীন ক্যাসেলের মালিক মোঃ ইমতিয়াজ সিদ্দিক আসাদ বলেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে হোটেল ব্যবসার বার বাজিয়ে দিয়েছে। সরকার ঘোষিত সময়ে যদিও পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক আসছে না। যার কারণে পর্যটক রিলেটেড সকল ব্যবসায় ধস নেমেছে। রাঙ্গামাটিতে পর্যটক না আসলে হোটেল ব্যবসা তেমন ভাল ভাবে চলে না। তবে করোনার ভয়ে সীমিত আকারে লোকজন আবাসিক হোটেলগুলো উঠতে শুরু করছে। পরিস্থিতি আরো একটু উন্নতি হলে হোটেল ব্যবসা পুরোদমে শুরু হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 9 =

Back to top button