গণটিকার কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, “গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ শুরুর আগে আরও টিকা আসবে। ফলে দ্বিতীয় ডোজ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।”
কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে বুধবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
এসএমএস ছাড়া গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আজ একটি বৈঠক আছে। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।
‘এই টিকা কার্যক্রমকে আমরা ক্যাম্পেইন ভ্যাকসিনেশন বলতে পারি। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা এটি বাস্তবায়ন করেছিলাম। আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং আমরা দিতে পারি কি না, সেটা যাচাইয়ের জন্য।’
বিগত কর্মসূচির সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘চেষ্টা করেছি; আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। দুই-চার জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ক্যাম্পেইন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্যাম্পেইন ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে। ৩০ আগস্ট ৫০ লাখ সিনোফার্মের টিকা আসবে। আমাদের হাতে এখনও ৩৫ লাখের মতো এই টিকা রয়েছে।
‘এই টিকা দিয়ে আমরা ক্যাম্পেইন ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করব। আমরা আশা করছি যাদের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করা হবে।’
প্রবাসী বাংলাদেশের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ৫৬১টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩০০টি এখন বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো দুই চালানে ৫৬২টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর আসে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে এসে ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।