তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রাহকের অজান্তেই ৭০ হাজার তথ্য সংগ্রহ করে ফেসবুক: পলক

ব্যবহারকারীর অজান্তেই ৭০ হাজার তথ্য সংগ্রহ করে নিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এমনটিই জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেসবুক এই তথ্যগুলোর মধ্যে দুর্বল দিক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা করছে। আয় করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে এই দুর্বল ও মিথ্যা তথ্যগুলোর মাধ্যমে ২০১২ সালে রামুতে, ২০১৬ সালে নাসিরনগরে, ২০১৭ ঠাকুরপারা এবং ২০১৯ সালে ভোলায় সবশেষ ২০২১ সালে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও রংপুরে প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্ট করা হয়।

রোববার (৩১ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো গাইডলাইনস ও সাইবার সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি ২০২১-২০২৫।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আবেগ-অভিব্যক্তি প্রকাশে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো মহল যেন দেশের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এজন্য আইসিটি বিভাগের অধীন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

চার বছরে দেশে হার্ডওয়্যার শিল্পখাতে সক্ষমতা অর্জন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন গত ২০ মাসে সাইবার সিকিউরিটির জন্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তায় জনশক্তির বৈশ্বিক চাহিদার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বিশ্বে এখন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের প্রয়োজন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের চাহিদা মেটাতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স ও ব্যাচেলর ডিগ্রি চালু করার জন্য ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের প্রতি আহবান জানান।
তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেও নিজেদের সক্ষমতা গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।

আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমীন।

সাইবার সিকিউরিটি স্ট্রাটেজির ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) এবং বিজিডি ই-গভসার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + fourteen =

Back to top button