চীনের সঙ্গে মিয়ানমার হয়ে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের অধীনে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসকে জানানো হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শিনহুয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত সিপিডির ‘বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সহযোগিতা: অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে শাহরিয়ার আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, বিআরআই-এর মাধ্যমে আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে।
বাংলাদেশের জন্য চীনের সহযোগিতাকে ‘আশীর্বাদস্বরূপ’ আখ্যায়িত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। একই সঙ্গে চীনা ‘ঋণের ফাঁদে’ বাংলাদেশের আটকে যাওয়ার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। বলেন, বাংলাদেশের মোট বৈশ্বিক ঋণের একটি ক্ষুদ্র অংশই দিয়েছে চীন।
তবে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য ঢাকা ও বেইজিংয়ের পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহরিয়ার আলম। ওয়েবিনারে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো নিবিড় করার ওপর জোর দেন বক্তারা।
এসময় বাংলাদেশে উচ্চ প্রযুক্তির ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ, উচ্চ গতির রেলপথ, মহাকাশ ও সুনীল অর্থনীতিতে আরো বিনিয়োগে সহযোগিতা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট ও একবিংশ শতাব্দীর মেরিটাইম সিল্ক রোড (বিআরআই) প্রকল্প প্রস্তাব করে চীন সরকার। প্রাচীন সিল্ক রুট ধরে ইউরোপ ও আফ্রিকার যোগাযোগ স্থাপনে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এতে যুক্ত হওয়া না হওয়া নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ভিন্নতর বা প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।