Lead Newsআন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

চূড়ান্ত ধাপে অক্সফোর্ড, দিনকয়েকের মধ্যেই আসছে ভ্যাকসিন

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই অর্থাৎ দিনকয়েকের মধ্যেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা জানাবে অক্সফোর্ড। বর্তমানে ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে আছে। তৃতীয় পর্যায়ের এ ট্রায়াল শেষে এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল জানাবে তারা।

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে বুধবার (২৭ জুন) থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে বৃহৎ আকারে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ে দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন করেছে অক্সফোর্ড। তৃতীয় ট্রায়াল শেষে অনুমোদন পেলেই বৃহৎ আকারে উৎপাদন শুরু করবে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোনো মুনাফা ছাড়াই ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা লক্ষ্য নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জন্য ৪০০ মিলিয়ন এবং স্বল্প-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ১ বিলিয়নসহ মোট ২ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করার পরিকল্পনা আছে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে সব জায়গায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২০২০ সালের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন শট বিতরণ করবে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

অক্সফোর্ডের তৈরি এ ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে এনকোভ-১৯ (ChAdOx1 nCoV-19)। ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে আছে। ভ্যাকসিনটি কার্যকার কি না, তা দ্রুতই  জানা যাবে। কার্যকর প্রমাণিত হলেই যত দ্রুত সম্ভব এর অনুমোদন দেবে যুক্তরাজ্যে সরকার।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা ৮০ ভাগ সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এটুকু বলতে পারি, করোনার ভ্যাকসিন সফলভাবে তৈরি করতে পেরেছি আমরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − three =

Back to top button