জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উত্তর প্রদেশ সরকারের নতুন পরিকল্পনা
ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা উত্তর প্রদেশে। এই রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে নতুন একটি বিল আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বিল অনুসারে, কোনো ব্যক্তির যদি দুটির বেশি সন্তান থাকে, তবে তিনি স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না; তিনি চাকরিতে পদোন্নতি পাবেন না। এ ছাড়া পাবেন না সরকারের ভর্তুকি। এমনকি সরকারি চাকরির অযোগ্য হিসেবেও বিবেচিত হবেন ওই ব্যক্তি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যা ২২ কোটির বেশি। উন্নয়নেও পিছিয়ে এই রাজ্য। বহুদিন ধরেই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই প্রদেশটি। এমন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
প্রদেশটির সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই ইন্ডিয়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই সন্তানের বেশি নয়, এমন জবরদস্তি নীতি গ্রহণ করা হলে অনিরাপদ গর্ভপাত বেড়ে যাবে। এ ছাড়া সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, সেটা নির্ধারিত হওয়ার পর গর্ভপাত বেড়ে যেতে পারে। ফলে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে।
প্রদেশটির স্টেট ল কমিশন এই বিলের খসড়া করেছে। গত রোববার প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নতুন এই জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ করেছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের জন্য এই নীতি গ্রহণ করা হবে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তারা বলছে, এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় সরকার।
সরকারের এ সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনাম মুত্রেজা বলেন, প্রজননস্বাস্থ্য, শিশু, মাতৃমৃত্যু এবং বার্ধক্যের ক্ষেত্রে যেসব নীতি বিদ্যমান; তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নতুন নীতি।