খেলাধুলাফুটবল

জোড়া লাল কার্ডের ম্যাচে বার্সার জয়

দীর্ঘ বিরতি শেষে ফুটবল মাঠে ফেরার পর পর্তুগিজ তারকা লুইস সুয়ারেজের হতাশাজনক পারফরম্যান্স বারবার জন্ম দিচ্ছিল নানান সমালোচনার। এবার সেই সুয়ারেজের গোলেই শিরোপা স্বপ্ন ফিকে হওয়া থেকে বাঁচল বার্সেলোনা, কমাল পয়েন্ট ব্যবধান।

নগর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাব বার্সেলোনা ও এসপানিওলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দলের লক্ষ্য ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। এক দল যেখানে শিরোপা স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার মিশনে ব্যস্ত, অন্য দল তখন অবনমন এড়াতে লড়ছে প্রাণপন। শেষপর্যন্ত জিতেছে শিরোপা লড়াইয়ে থাকা বার্সেলোনা আর ২৭ বছর পর অবনমিত হয়ে গেছে এসপানিওল।

বুধবার রাতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে এসে স্বাগতিকদের মনে ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল এসপানিওল। আগের সাত ম্যাচে তিনটি ড্র করে ইতোমধ্যে আঁচড় লেগেছে শিরোপা সম্ভাবনায়। এসপানিওলের বিপক্ষেও পয়েন্ট খোয়ালে আরও সুগম হয়ে যেত বার্সার প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের পথ।

সেটি হতে দেননি বার্সা উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। তার করা একমাত্র গোলেই ন্যুনতম ব্যবধানে জিতেছে কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের ৫৬টি মিনিটের সময় মেসির শট ঠেকিয়ে দেন এসপানিওল গোলরক্ষক। ফিরতি বলে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সুয়ারেজ।

চলতি লিগে এটি তার ১৫তম গোল। আর সবমিলিয়ে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সুয়ারেজের মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৯৫। যা তাকে এনে দিয়েছে ক্লাবের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার গৌরব। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ১৯৪ গোল করা কুবালাকে।

সুয়ারেজের গোলের আগে তিন মিনিটের মধ্যে জোড়া লাল কার্ড দেখানো হয় ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন বার্সার তরুণ প্রতিভা আনসু ফাতি। থাকতে পারেননি পাঁচ মিনিটও। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। পরে ভিএআর দিয়ে চেক করে দেয়া হয় লাল কার্ড।

মিনিট তিনেক পর একই ভাগ্যবরণ করেন এসপানিওলের মিডফিল্ডার পল লোজানো। তিনি জেরার্ড পিকেকে ফাউল করে প্রথমে দেখেন হলুদ কার্ড। পরে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ দুই হলুদ কার্ডের পরপরই আসে সুয়ারেজের জয়সূচক। ম্যাচের বাকিসময় আধিপত্য বিস্তার করেছেন দুই দলের গোলরক্ষকরা। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও, দুই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ম্যাচের ফল থেকে ১-০ই।

এ জয়ের পর ৩৫ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়ে গেছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের সংগ্রহ ৭৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৩৫ ম্যাচে মাত্র ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেল এসপানিওল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 5 =

Back to top button