জাতীয়

জ্বালানি তেলসহ বাসের ভাড়া বৃদ্ধি অমানবিকঃ আমু

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট জানিয়েছে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম একসঙ্গে ১৫ টাকা বাড়ানো ঠিক হয়নি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, ডিজেলের মূল্য একসঙ্গে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি। যারা এটা করেছেন, তাদের উচিত ছিল ত্রিপক্ষীয় একটা আলোচনা করে সবকিছু নির্ধারণ করা। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে বাস মালিক ও জনগণের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত ছিল বলে জানান তিনি। আমির হোসেন আমু বলেন, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি অমানবিক।

এ সময় পাশ থেকে জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাজস্ব কমিয়ে দিলেই হতো। ভারত তো এটা করেছে।

আমু বলেন, আমরা মনে করি বাসভাড়া বৃদ্ধির পদক্ষেপ অমানবিক। আমরা জানি অধিকাংশ বাসই গ্যাসে চালিত। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না হওয়ার পরও সব বাসের ভাড়া বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ ১৪ দল পায় না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, হয় গ্যাসচালিত বাসের সিলিন্ডার নিয়ে নিতে হবে, এই বাসব্যবস্থাই বাদ দিতে হবে। সবাইকে তেলে আনতে হবে। না হলে, বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে জনগণের যাতে স্বস্তি হয় সেরকম বাসভাড়া নির্ধারণের দাবি করছি।

পণ্যের দাম কমাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সরবরাহ ও উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও অহেতুক দফায় দফায় যে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বসে তা সুরাহা করার আহ্বান জানান তিনি।

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ১৪ দলীয় জোট উদ্বিগ্ন বলে জানান মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়। নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে যাতে জনগণ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে। আমরা বলছি না যে নিরপেক্ষতা সরকারের পক্ষ থেকে নষ্ট হয়েছে। আমরা মনে করি সহিংসতার কারণে মানুষ ভোট দিতে ভীত। সহিংসতা বন্ধ করা হোক, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ ও কঠোর হতে হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, সাম্প্রদায়িকতার ঘটনায় সারা দেশে উদ্বেগ তৈরি করেছে। আমরা লক্ষ করছি, একটি সম্প্রদায়কে সামনে রেখে ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা মনে করি, তদন্ত সাপেক্ষে এদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি জানান, ১৪ দলের পক্ষ থেকে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 2 =

Back to top button