জ্বালানি সঙ্কটে আশার আলোর দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাস
দেশে জ্বালানি সঙ্কটে সাময়িক স্বস্তি হিসাবে আশার আলোর দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাস। সম্ভাব্য মজুদ ও বাপেক্সের জরিপ বলছে, দীর্ঘমেয়াদেও গ্যাস সরবরাহে ভূমিকা রাখতে পারে ভোলার গ্যাসক্ষেত্রগুলো। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করার কথা জানিয়েছে বাপেক্স।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে ভোলার গ্যাস বোতলজাত সিএনজি আকারে শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হবে।
দেশে পর্যাপ্ত গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহ না থাকায় চরম সঙ্কটে শিল্পখাত। বিদ্যুৎ ও শিল্পের চাহিদা সামাল দিতে বেশি দামের এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা সরকারের। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমদানি নিয়েও বিপাকে জ্বালানি খাত।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে আশার কথা জানালো দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, ভোলায় দুই টিসিএফের মতো গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের আরো কয়েকটি জেলায় অনুসন্ধান করবে বাপেক্স।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরও শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ভোলার গ্যাস দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শিল্পখাতে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
জ্বালানি মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, দাম পড়ে যাওয়ায় মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ১২ কার্গো এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কিনতে বেসরকারি খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।