জাতীয় দলে দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলেছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। মাঠ ও মাঠের বাইরে দুজনের সম্পর্ক দারুণ। তবে প্রথম দেখায় দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিমের মাথায় ইচ্ছে করে বল মেরেছিলেন সৌম্য। দেশসেরা ওপেনারের মাথায় বল লাগার পর যারপরনাই খুশি হয়েছিলে তিনি।
শনিবার রাতে তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় যোগ দেন জাতীয় দলের চার ক্রিকেটার লিটন দাস, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম। সেখানে অনেকটা মজা করেই সৌম্যকে বোলার বলে মনে করেন না- এমন মন্তব্য করেন তামিম। জবাবে তামিমের মাথায় বল মারার ঘটনা মনে করিয়ে দেন সৌম্য।
মূলত বিকেএসপির হয়ে খেলার সময় কাজটি করেছিলেন সৌম্য। তিনি তখনও লাইমলাইটে আসেননি, এদিকে জাতীয় দলের হয়ে দারুণ খেলছিলেন তামিম। বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে প্রথমবার তামিমের বিপক্ষে নামেন সৌম্য সরকার। জাতীয় দলের তারকাকে নিজের তেজ দেখিয়ে দিতে মাথা লক্ষ্য করে বাউন্সার দিয়েছিলেন তিনি, যা সরাসরি তামিমের মাথাতে আঘাত করে।
সে ম্যাচের স্মৃতি রোমন্থন করে সৌম্য বলেন, ‘তামিম ভাই তো আমাকে বোলার হিসেবে গণ্য করে না এটা আমি জানি। কিন্তু বিকেএসপির হয়ে যখন প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম তখন তামিম ভাইয়ের সাথে ফার্স্ট খেলি। বগুড়ায় ম্যাচ ছিল। আমি ওই সময়ে ভাল বাউন্সার মারতে পারতাম।’
এরপর এই অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘তামিম ইকবাল খান ব্যাটিং করতেসে আর আমি সৌম্য সরকার বিকেএসপির কোন এক পিচ্চি দৌড়ায়ে আইসা বাউন্সার মারছি একেবারে তামিম ভাইয়ের মাথায়। এই আমি তামিম ভাইয়ের মাথায় বল মারছি! কি যে খুশি ছিলাম আমি!’
অবশ্য সৌম্যের পরের বলই সীমানাছাড়া করেছিলেন তামিম। সেটি মনে করিয়ে দিয়ে দেশসেরা ওপেনার পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘পরের বল কি হইছে?’ সেটা নিয়ে অবশ্য কোনো চিন্তা করেননি সরকার। হাসতে হাসতেই উত্তর দেন, ‘পরের বল তো দেখার বিষয় না। আমি তখন ছোট। আপনার মাথায় পিচ্চি হয়ে বল লাগাইছি এটাই আনন্দের ছিল।’