তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা; ২৭ জনের প্রাণহানি
তুরস্কের কৃষ্ণসাগরের উপকূলীয় এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা আঘাত হেছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি আগস্টেই দ্বিতীয়বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে দেশটি। জরুরি সেবা কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন।
দেশটির দক্ষিণ উপকূলে গত দুই সপ্তাহ ধরে ছড়িয়ে পড়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়। এর মধ্যেই এবার কৃষ্ণসাগর উপকূলে অবস্থিত উত্তরের প্রদেশগুলো বন্যার কবলে পড়ায় সেখানে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানির স্রোতের নিচে বহু গাড়ি তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। সড়ক প্লাবিত হয়ে যেন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। অনেক ভেঙে পড়েছে সেতু, রাস্তায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শতাধিক গ্রাম।
আজ শুক্রবার বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের। বার্তিন, কাস্তামোনু ও সিনোপ প্রদেশে বন্যার ক্ষতি কেমন হয়েছে তা জানার পর তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু বলেছেন, ”আমার জীবদ্দশায় আমি এত ভয়াবহ বন্যা দেখিনি। আমাদের নাগরিকরা যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন তা খুবই মারাত্মক। অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
তুরস্কের জাতীয় বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা অধিদফতর (এএফএডি) জানিয়েছে, “ভয়াবহ এই বন্যায় দেশটির কাস্তামোনু প্রদেশে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া বন্যার কবলে পড়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে সিনোপ প্রদেশে।”
তবে সিনোপের মেয়র বারিস আইহান বলেছেন, ‘সেখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ২০ জনকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। আয়ানিক জেলার অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই। পাওয়া যাচ্ছে না খাবার পানি।’