আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের নজর এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোয়

ইসরায়েল নতুন করে সম্পর্ক গড়তে চায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে। জেরুজালেম পোস্টের মধ্যমে এই সংবাদ জানা যায়

সংবাদে বলা হয়েছে, ইসরাইল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। সাগি কাররানি, যিনি সিঙ্গাপুরে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত, তিনি এমন পদক্ষেপের কথা বলেন। সংবাদে আরও বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশ ইসরায়েলের ব্যাপারে মন্দ মনোভাব পোষণ করে।

জেরুজালেম পোস্টের সংবাদে বলা হয়, সর্বশেষ হামাস- ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই।

জেরুজালেম পোস্টের সংবাদ  অনুযায়ী, জতিসংঘের প্রতি ফিলিস্তিনে হতাযজ্ঞ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেনদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশ । ইসরাইলের সঙ্গে এই তিন দেশ আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক রাখেনি। ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও কতৃত্ব অবসানের দাবী জানিয়েছে।  ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পূর্বে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলত দেশ তিনটি।

ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি আরও বলেন, “এই তিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতারা ইসরাইলের যে সমালোচনা করে সেটা যর্থাথ নয়। তাদের বক্তব্যে সংঘাতের আসল চিত্র ফুঁটে ওঠে না। ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের সংঘাত; ফিলিস্তিনি মানুষের নয়”।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিউজ এজেন্সির সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ইসরাইলের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, হামাস একটি ইহুদিবিরোধী সংগঠনের নাম। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  বিতর্কে লিপ্ত হয়, তারা হামাসের ‘গোড়া এবং ফ্যাসিস্ট’ দৃষ্টিভঙ্গি এখনও জানে না। ‘ইহুদিবিরোধী’ এমন বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে হামাস।

সর্বশেষ হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে একথা স্বীকার করে সাগি কাররানি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তার ওপর যথার্থ প্রভাব বিস্তার করতে যেকোনো পক্ষের একমাত্র উপায় হলো ‘ইসরাইলে সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা”।

কাররানি বলেন,  কথা বলতে, সাক্ষাৎ করতে আমরা আগ্রহী এবং সজাগ থাকা পর্যন্ত সম্পর্ক তৈরির দরজা সব সময় উন্মুক্ত। আমি মনে করি না, আমাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন।

  1. এশিয়ায়, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডে ইসরাইলের দূতাবাস আছে। গেল বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান,  বাহরাইন এবং মরক্কো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =

Back to top button