দূষিত ১০০ শহরের ৪৬টিই ভারতের, দ্বিতীয় স্থানে চীন
বিশ্বের দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ৮৮টিই দুই দেশের, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬টি ভারতে আর ৪২টি চীনে অবস্থিত। বাকি দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ৬টি, বাংলাদেশের ৪টি, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের একটি করে শহর রয়েছে এই তালিকায়। ল্যানসেটের তথ্যমতে, দুষিত ১০০ শহরের বাতাসে ক্ষতিকর কণা, পিএম২.৫-এর মাত্রা ৫০-র বেশি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বায়ুদূষণের ফলে প্রতি বছরই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। এতে দুই কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সাময়িকভাবে। তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই ভারতে, দিল্লি ছাড়া বাকি শহরগুলোর অবস্থাও রীতিমতো ভয়াবহ।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের পশ্চিমের শহর জিনজিয়াংয়ের হোতানের বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ২০২০ সালে। চলতি বছরেও দেশটির সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে শহরটি, অন্যান্য শহরের অবস্থাও বেশ খারাপ। এসব শহর শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়, যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাতাসের দূষণ পরিমাপ করা হয়, পিএম২.৫, পিএম১০, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা বিবেচনায়। এসব ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বাতাসে ৫৫-১৫০ হলে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এই পরিমাণ ১২ এর নিচে হলে ভালো আর ২৫০ বা তার বেশি হলে বিপজ্জনক মনে করা হয়।
ল্যানসেট বলছে, বায়ুদূষণের কারণে ২০১৯ সালে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরে ১৫টিই দেশটিতে অবস্থিত, যা বেশিরভাগই উত্তর ভারতে। শীত মৌসুমে খড় পোড়ানো, শিল্প-কারখানা ও যানবাহনের কালো খোঁয়া বাতাসের ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫ মাত্রা বাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএউচও-এর মথ্যমতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণের কারণে সারা বিশ্বে ৭০ লাখের মতো মানুষের মৃত্যু হয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো- বায়ুদূষণ বেশি থাকা অঞ্চলে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ বাস করে।