Lead Newsকরোনাভাইরাসস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

দেশে করোনা সংক্রমণ বয়স্কদের চেয়ে যুবকদের বেশি যে কারনে

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগই হচ্ছেন কর্মোপযোগী যুবশ্রেণী। সরকারি তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে, দেশে মৃত্যুতে বয়ষ্করা বেশি হলেও আক্রান্তের তালিকায় কিশোর-যুবারা বেশি।
গত বছর ভয়াবহভাবে আঘাত হানা ডেঙ্গুতেও যুবারা বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। অথচ যুবকদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। যেকোনো রোগের সংক্রমণ মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি। তাই তাদের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় পেছনে থাকার কথা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩০৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।তাদের মধ্যে আক্রান্তের অনুপাতটা কিছুটা এমনঃ ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী: ২৭%। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ২২%। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ১৯%। বাকিরা অন্যান্য বয়সের।
এমন চিত্র শুধু একদিনের আক্রান্তদের মাঝেই নয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সামগ্রিক হারও অনেকটা একই চিত্র প্রকাশ করে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, মোট ২,১৪৪ জন রোগীর মধ্যে ১০ বছরের নিচে আক্রান্তের হার ৪%, ১১-২০ বছর বয়সী ১২%, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২৩%, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ২০%, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৩%, বাকিরা পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাস কোনো বয়স কিংবা শ্রেণি মানে না। এর সুরক্ষা ব্যক্তির নিজেকে নিশ্চিত করতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি ব্যক্তি নিজেকে অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে, তাহলেই করোনা থেকে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
এক্ষেত্রে দেশের নারী ও শিশুরা বড় উদাহরণ। তারা ঘর থেকে কম বের হয় ফলে তারা আক্রান্তও কম হচ্ছে। যতজন আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে তারাও বাইরে থেকে নয়, পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছে।
কিশোর ও যুবকদের আক্রান্ত বেশি হওয়ার পেছনে চিকিৎসকরা বলছেন, এই বয়সের মানুষ আবদ্ধ থাকতে চায় না। ঘুরে বেড়ায়। বহুজনের সংস্পর্শে আসে। ফলে তাদের আক্রান্তেরও ঝুঁকি বেশি রয়েছে।
শনিবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ নারী। এদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ ঢাকায়, ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জে এবং বাকিরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =

Back to top button