দেশে ফিরছেন ড. বিজন শীল, পেয়েছেন কাজের অনুমতি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী এবং করোনা শনাক্ত কিটের আবিস্কারক ড. বিজন কুমার শীল বাংলাদেশে কাজ করার জন্য অনুমতি পেয়েছেন। শীঘ্রই দেশে ফিরছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানী। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ড. বিজন কুমার শীল নিজেই।
ড. বিজন কুমার শীল গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ড. বিজন জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক হলেও তিনি আগেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
এতদিন বাংলাদেশে তার কাজ করতে অসুবিধা না হলেও গেলো জুলাইয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগ বলে দিয়েছে, বিদেশি নাগরিক হিসেবে কাজের অনুমতি না নিয়ে তিনি কাজ করতে পারবেন না।
তার নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট উদ্ভাবন করেছে। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়ার শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুরে চলে যেতে হয়েছিল।
পরবর্তীতে বেশ লম্বা সময় ধরে প্রক্রিয়া চলছিল, যা গতকাল শেষ হয়েছে বলে ড. বিজন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ক পারমিটের কাগজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে আমার কাছে এসে পৌঁছেছে।’
উল্লেখ্য, ড. বিজন কুমার শীল ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন। ২০০২ সালে ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারকও ড. বিজন। যা সিঙ্গাপুরে তার নামেই প্যাটেন্ট করানো।
২০০৩ সালে তিনি সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন। এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।