জাতীয়

দেশে ফিরে করোনা টিকা নিলেন সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন। টিকা নেয়া শেষে তিনি সকলকে কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আহ্বান জানান।

এছাড়া দেশের সর্বসাধরন ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য করোনা টিকা নেয়ার সুব্যবস্থা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে দেশের সকল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপে গতকাল (১৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট ২৬টি টিকাদান কেন্দ্রে সর্বমোট ১৮ হাজার ২৬৯ জন কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গসহ অন্যান্য অসামরিক ব্যক্তিবর্গকে টিকাদান করা হয়।

উল্লেখ্য গত ২৯ জানুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনী প্রধানের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ মার্কিন সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদি পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

আইএসপিআর এক বিঞ্জপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী প্রধান ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, অফিস অব সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি সাউথ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়া এবং ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশনের প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান। সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সেনাপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে জেনারেল আজিজ বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরো জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ম্যাকনভিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় ১৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনসহ গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এছাড়াও আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেটারিতে গার্ড অব অনার প্রদানকালে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে তিনি মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তিনি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার এবং পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 12 =

Back to top button