নদীগর্ভে বিলীন সিরাজগঞ্জের শত শত ঘরবাড়ি
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও নদী ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ।
চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সরকার জানান, উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের চরবিনোনই, মিঠুয়ানি, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, বাগুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ, চরবিনানই, চরনাকালিয়া, স্থল ইউনিয়নের বসন্তপুর, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর ও বারবানাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এসব অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
বুধবার দিনভর ভাঙনে দুটি গ্রামের ৪০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিলেও সেখানেও রেহাই হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান ফারুক হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা শুরু হয়েছে এবং আর্থিক সহযোগিতা দেয়াও শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরাজুল ইসলাম বলেন, ওই উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যমুনায় এখন পানি কমতে থাকায় এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার আগে ও পরে এ অঞ্চলের ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ, ব্লক ও বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এতে ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ হলেও আবারও অনেক স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।