নামিবিয়াকে হারিয়েছে আফগানিস্তান, চোখ এখন সেমিতে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে রোববার নামিবিয়াকে খুব সহজেই হারিয়েছে আফগানিস্তান। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আফগানরা জিতেছে ৬২ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নবী শিবির। দলটির চোখ এখন সেমিতে।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬০ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৮ রানে থামে নামিবিয়া।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নামিবিয়া। ১৬ রানে দুই উইকেট হারানো এই দলের ৬ উইকেট পড়ে দলীয় ৫৬ রানে। রশিদ খানদের তোপে বেশিদূর আগাতে পারেনি আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়া নামিবিয়া।
দলীয় ২ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। ১ রান করে বিদায় নেন ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়ামস। আরেক ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন করেন ১১ রান। দুই ওপেনারকেই ফেরান আফগান বোলার নাভিন উল হক।
ওয়ান ডাউনে নামা লফটি ইটন করেন ১৪ রান। তিনি গুলবাদিনের বোল্ড। অধিনায়ক জেরহার্ড ইরাসমাস করেন ১৪ বলে ১২ রান। তিনি বোল্ড হন হামিদ হাসানের বলে। সাত বলে এক রান করা জানে গ্রিন বোল্ড হন রশিদ খানের ঘূর্ণি বলে।
মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়াইজ। কিন্তু সেভাবে লেজের সারির ব্যাটসম্যানরা চোখ তুলে তাকাতে পারেননি আফগান বোলারদের সামনে। ওয়াইজ ৩০ বলে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান। শেষের দিকে ৯ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন রুবেন ট্রাম্পেলম্যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা উড়ন্ত ছিল আফগানিস্তানের। উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ পার করেন দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন স্মিট। ২৭ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাজাই।
দলীয় ৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। থিতু হতে পারেননি রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৮ বলে মাত্র চার রান করে তিনি লফটির এলবির শিকার। আসগর আফগানকে সাথে করে রানের গতি বাড়ান মোহাম্মদ শাহজাদ। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন ট্রাম্পেলম্যান। ৩৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৫ রান করে ফেরেন শাহজাদ।
চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জন্য বাকি কাজটুকু সারেন অবশ্য আসগর ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। ২৩ বলে তিন চার ও একটি ছক্কায় আসরগর আসরগর ৩১ রানে ফিরলেও নবী ছিলেন অপরাজিত। ১৭ বলে তিনি খেলেন ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস। আফগান অধিনায়কের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।
নামিবিয়ার হয়ে রুবেন ট্রাম্পেলম্যান ও লফটি-ইটন দুটি করে উইকেট নেন। জে স্মিট পান একটি উইকেট।