Lead Newsআন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

নিউইয়র্কে করোনায় মৃতদের গণকবরের ভিডিও প্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক মহানগরীতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এতো বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানে এমন এক ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে যে, নিরুপায় হয়ে লাশগুলোকে গণকবর দিতে হচ্ছে।

এরইমধ্যে গণকবর দেয়ার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক নগরীতে মারা গেছে ৭ হাজার ৮৪৪ জন। খবর বিবিসির।

বিশ্বের লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম আঘাত হানে ভাইরাসটি।

এরপর ১০২ দিনে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

ইউরোপের দেশগুলোকে বিপর্যস্ত করে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডসন নদীপাড়ের ছবির মতো সুন্দর শহর নিউইয়র্ক- সুউচ্চ বিল্ডিংগুলো যেন আকাশকে মাটিতে নেমে আসার হাতছানি দেয়। রাত নামলেও এখানে দিনের আলো যেন নেভে না। আমেরিকানরা গর্ব করে বলেন- পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ শহর নিউইয়র্ক।

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে তার চেহারাটা নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। করোনার ভয়াল থাবায় সর্বদা জেগে থাকা নিউইয়র্ক এখন ভুতুড়ে নগরী। বিপুলসংখ্যক মৃতের সৎকারের জন্য কয়েক দিন ধরে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে শহরটিতে। ইতালিতে শতাধিক চিকিৎসকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই করোনা।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে এক লাখ দুই হাজার ৭৪১ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে তিন লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ জন।

আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৮ হাজার ৭৪৭ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে ইতালি এখনো সবার শীর্ষে। দেশটিতে মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৪৯ জন। এরপর রয়েছে স্পেন। এ দেশটিতে মারা গেছে ১৬ হাজার ৮১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে ১৩ হাজার ১৯৭ জন। ব্রিটেনে মারা গেছে আট হাজার ৯৫৮ জন।

চীনের উহান শহরে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি করোনা ভইরাসের উৎপত্তি হয়। শুরুর দিকে শুধুমাত্র সেখানেই সীমাবদ্ধ ছিল এর বিস্তার। তবে ধীরে ধীরে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং ইরানে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। রানে তাণ্ডব চালাতে চালাতেই ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এসে ইতালিতে শুরু হয় ভাইরাসের প্রকোপ।মার্চের শুরুর দিকে ইতালিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

এরপর ইউরোপের বাকি দেশগুলো- স্পেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এর উপস্থিতি বাড়তে থাকে আটলান্টিকের ওপারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − five =

Back to top button