Breakingধর্ম ও জীবন

নিজের জন্য যে দোয়া বেশি বেশি করবেন

মানুষ সৌভাগ্যবান হতে চায়। দুর্ভাগ্য কারো কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মানুষ অনেক চেষ্টা করে, দুর্ভাগ্য এড়াতে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে। দোয়ার মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য এবং ভাগ্যের দুরবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তাকদিরের বিরুদ্ধে সতর্কতা কোনো কাজেই আসবে না। যা ঘটেছে ও যা ঘটতে পারে—তা থেকে শুধু দোয়াই পারে নিষ্কৃতি দিতে। কোনো কোনো দুর্দশার সঙ্গে মোকাবেলা করে বিচার দিন পর্যন্ত লড়াই করতে থাকে দোয়া।’ (তাবরানি আউসাত, হাদিস : ১৫১৯)

হাদিসে দোয়া করাকে স্বতন্ত্র ইবাদত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাহাবি নোমান বিন বাশির (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৮১)

আল্লাহ তায়ালা নিজেও তার বান্দাদের বেশি বেশি দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন পবিত্র কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অহংকারবশত যারা আল্লাহর ইবাদত করে না, তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)

ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির জন্য আলাদা ও স্বতন্ত্র অনেক দোয়া শিখিয়েছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম। সাহাবি আবু মালিক আশআরী (রা.) তার বাবা সাহাবী আসিম (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে বেশি বেশি দোয়া করতে বলতেন। দোয়াটি হলো-

اللهم اغفر لي وارحمني واهدني (وعافني) وارزقني

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলী, ওয়ার‘হামনী, ওয়াহদিনী, ওয়া ‘আ-ফিনী, ওয়ারযুকনী।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাকে সার্বিক নিরাপত্তা ও সুস্থতা দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।’ (সহীহ মুসলিম, হাদিস, ২০৭৩, ২৬৯৭।

এই দোয়াটিতে একজন মানুষের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাই মুমিনের উচিত সবধরনের ব্যস্ততার মধ্যে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এই দোয়াটি করা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 8 =

Back to top button