জাতীয়

নির্বাচন কমিশন গঠনে ৭ দফা প্রস্তাব

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের, ইসি, মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। পাঁচ বছর পর পর এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন কমিশন গঠন করা হয়। এ নিয়ে প্রত্যেকবারই বিতর্ক দেখা গেছে, যা শুরু হয়েছে এবারও। এই বিতর্কের অবসানে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন।

গতকাল শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, রাতে খসড়াটি সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি জানান, ইসির জন্য আইন তৈরির সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ নিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়।

এতে স্বাধীন নিরপেক্ষ ইসি গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সার্চ কমিটি করার কথা বলা হয়েছে। এই কমিটিতে সংসদ নেতা মনোনীত একজন এমপি, বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত একজন এমপি, সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল মনোনীত একজন এমপি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, নাগরিক সমাজের এবং গণমাধ্যমের একজন করে প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে, জানুয়ারির শেষ দিকে বসবে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন। এত অল্প সময়ে নতুন আইন করা সম্ভব নয়, তাই পুরনো নিয়মেই এবারের ইসি গঠিত হবে।

সুজনের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলছেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন তৈরি করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। সে ক্ষেত্রে আর তাড়াহুড়োর প্রশ্ন থাকছে না। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের মতো আইন জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য আইনমন্ত্রীর।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলছেন, সংসদকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়নি, বরং অধ্যাদেশ জারির পর সংসদে পাস করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সার্চ কমিটিতে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, আমরা তাদের সম্পৃক্ত করার কথা বলছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 1 =

Back to top button