সম্প্রতি মসজিদে আজান ও নামাজ আদায়ের জন্য ইমামকে সাঁতরে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগের কথা ভেবে ভাসমান মসজিদ তৈরি করে দিয়েছে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জোহর নামাজের মধ্য দিয়ে ভাসমান মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে এলাকাবাসী জানান, “কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়ার জোয়ারভাটা চলছে। এখানকার মানুষের অধিকাংশ কাজ নৌকাতেই সারতে হয়। প্রতাপনগরের হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের মুসল্লিদের কখনও কখনও কোমর বা হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি বেড়িবাঁধের ভাঙনে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় বিধ্বস্ত প্রায়। স্থানীয় সেই মুসল্লিদের দুর্ভোগ লাঘবে সামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি তৈরি করা হয়।”
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইমাম হাফেজ মাঈনুর রহমানের কাছে মসজিদটি হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, “ভাসমান মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট, প্রস্থ ১৬ ফুট। রয়েছে আজান দেওয়ার জন্য একটি মাইকসেট, ওজুখানা, পানি ব্যবহারের জন্য চারটি ট্যাপ ও একটি টয়লেট। এই মসজিদে মুসল্লিদের তেলাওয়াত করার জন্য রাখা আছে চারটি পবিত্র কোরআন মাজিদ।
ভাসমান এ মসজিদে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৫৫ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখন থেকে আজান দেওয়া ও নামাজ আদায় ভাসমান মসজিদেই হবে। আগে এলাকার ৩০০ থেকে ৪০০ মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। তবে জুমার দিন এত মানুষের জায়গা এখানে হবে না। জুমার দিন পার্শ্ববর্তী কোনো মসজিদে নামাজ আদায় করতে হবে।