সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে, দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের ফলে সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে আজকেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের, বিদেশী মদ সেবন করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিত হয়ে ইতোমধ্যে কারাগারে প্রেরিত হয়েছেন।
এছাড়া, তিনি অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ছয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, মাদক রাখায় আরও মামলা দায়ের করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের উক্ত কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ধারা ২(৩৭) এবং ১৩(১) (খ) (ঘ) অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসাধারণের শামিল হওয়ায় (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯ এর ধারা ১২ এর উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতাবলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।
পরে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে।