পতন ঘটতে পারে আফগান অর্থনীতিরঃ জাতিসংঘ
আফগান অর্থনীতিবিদ এবং মানি এক্সচেঞ্জাররা আফগানিস্তানে মুদ্রার আসন্ন ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কারণ ঘানি সরকারের পতনের পর দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করছে।
গতকাল সোমবার ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, সংকট রোধে পদক্ষেপ না নিলে আফগান অর্থনীতির পতন ঘটবে। টোলো নিউজ।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রবণতা এবং প্রত্যাহারের বিধিনিষেধের সাথে বছরের শেষ নাগাদ আফগানিন্তানের ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ আমানত হারিয়ে যাবে। ব্যাংকগুলো নতুন ক্রেডিট বৃদ্ধি বন্ধ করেছে এবং ২০২০ সালের শেষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৫৭ শতাংশতে এ দাঁড়িয়েছে।
আফগানিস্তানে ইউএনডিপির প্রধান আবদুল্লাহ আল দারদারি বলেন, খেলাপির এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় মাসে ব্যাংকগুলোর টিকে থাকার সুযোগ নাও থাকতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাহায্য স্থগিত করা এবং আফগান সম্পদ জমে যাওয়া নগদ সংকটের প্রধান কারণ।
অর্থনীতিবিদ সাইয়েদ মাসুদ বলছেন, তালেবান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার মুক্ত করতে চেয়েছিল কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে অস্বীকার করেছে। এর মানে হল, তালেবান সরকার ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ঘাটতির মুখে পড়ে গেছে। মূলত তালেবানরা ক্ষমতায় এসে একটি খালি কোষাগারের মুখোমুখি হয়।
অক্টোবরের শুরুতে রয়টার্স আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক দাতাদের জন্য একটি মূল্যায়ণ চিত্র তুলে ধরে। মূল্যায়ণ প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু রিজার্ভ প্রাদেশিক শাখায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষে এই শাখাগুলোতে প্রায় ২০২ মিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রদেশগুলোর পতন শুরু হওয়ায় নগদ অর্থ স্থানান্তরিত হয়নি।
প্রতিবেদন বলছে, প্রাদেশিক অনেক শাখা থেকে অর্থ চুরি হয়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ চুরি হয়েছে তা বলা হয়নি। যখন নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করে, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।