পথ চলাচলে নবীজির নির্দেশনা
আমরা শ্রেষ্ঠ নবীর (সা.) উম্মত, যার পরিপূর্ণ আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করা সম্ভব।
তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণ মণ্ডিত করা প্রয়োজন। এই মহান রাসুলের সব কিছুই আমাদের জন্য আদর্শ।
আল্লাহতায়ালা কোরআন কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘হে রাসুল! তুমি লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহতায়ালাকে ভালোবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, তবে আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসবেন’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত:৩১)।
ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসেবে আল্লাহতায়ালা মনোনীত করেছেন আর বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বানিয়েছেন সাদা-কালো সবার জন্য অনুসরণীয় আদর্শ। আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা এবং সন্তুষ্টি পেতে হলে বিশ্বনবীর (সা.) পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণ ছাড়া সম্ভব নয়।
রাস্তায় কীভাবে চলাফেরা করতে হয় এবং রাসুল (সা.) কীভাবে রাস্তায় চলাফেরা করতেন— এ বিষয়েও হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন— ‘তোমরা রাস্তার পাশে বসে থেকো না।’
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আল্লাহর রাসুল! আমাদের তো এর প্রয়োজন হয়। পরস্পরে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হয়। রাসুল (সা.) বললেন— বসতেই যদি হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করে বসো।
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আল্লাহর রাসুল! রাস্তার হক তবে কী? রাসুল (সা.) বললেন, রাস্তার হক হলো—
এক. দৃষ্টিকে অবনত রাখা। দুই. কাউকে কষ্ট না দেওয়া। তিন. সালামের জবাব দেওয়া। চার. সৎ কাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখা। (বুখারি, হাদিস : ৬২২৯)
দম্ভভরে চলাফেরা না করাও ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। অর্থাৎ হাঁটাচলায় বিনয় অবলম্বন করতে হবে।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ভূ-পৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না, তুমি তো কখনোই পদভারে জমি বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বত-সমান হতে পারবে না।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩৭)