পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে পৃথিবীর ভূস্বর্গ
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই পর্যটকদের জন্য সুখবর দিল পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর প্রশাসন। আগামী ১৪ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে জম্মু এবং কাশ্মীর। তবে এজন্য পর্যটকদের মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিমানে করে যে পর্যটকরা আসবেন, তারাই জম্মু-কাশ্মীরে থাকার অনুমতি পাবেন। তবে জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছানোর আগে হোটেল বুকিংয়ের কনফার্মেশন থাকতে হবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তার প্রমাণ দেখাতে হবে প্রশাসনকে। যতদিন জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকরা থাকবেন, ততদিনের বুকিং আগাম করে রাখতে হবে। এছাড়া পর্যটকদের ফেরার কনফার্মড টিকিটও থাকতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছানোর পরই পর্যটকদের আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হবে। জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছানোর আগেই হোটেল বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বেড়ানোর জন্য গাড়ির বুকিংও করে রাখতে হবে। এজন্য জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তবে যেসব পর্যটকদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি তাদের এখনই জম্মু-কাশ্মীরে না আসারই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গাইডলাইন না মানলে পর্যটকদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে কাশ্মীর প্রশাসন।
গত বছরের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা দেয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি বাতিল করে দেশটির সরকার। ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ এক প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে মুসলিম-অধ্যুষিত রাজ্যটির বিশেষ সুবিধা দেয়া সাংবিধানিক আইনটি বাতিল করে দেন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন সেখানে কারফিউ জারি রাখা হয়। তবে সম্প্রতি সেখানে বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনা হলেও এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে পারেননি কাশ্মীরবাসী।