যতই দিন যাচ্ছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। সীমান্ত এলাকায় কাটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে চলছে এই অস্থিরতা। যদিও এই অবস্থার সৃষ্টি হয় ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। দুই দেশের মধ্যে যখন সম্পর্কের এই টানাপোড়েন, তখন ভারতের সীমান্ত দিয়ে আসছে পাগলের বেশে একের পর এক ব্যক্তি। প্রশ্ন উঠেছে, এরা কি সত্যিই পাগল নাকি অন্য কিছু?
ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে পাচ মাসের বেশি সময়। এর আগে নিজের ক্ষমতা টিকেয়ে রাখতে হাজারও মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে নিজের হাত। কথিত আছে পুলিশের সাথে বিশেষ একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল। খোদ সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জে. অব. শাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন পুলিশের হাতে সীমান্তের ভয়ংকর অস্ত্র এলো কিভাবে?
বিশেষ ওই প্রশিক্ষিত বাহিনী কারা ছিলেন, ওই ভাড়ি অস্ত্র কিভাবে এলো আর হাসিনার পতনের পর তা কোথায় গেলো তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা নতুন নয় তবে এবারের উত্তেজনা সীমান্তে বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে। কোন প্রকার সতর্কতা ছাড়াই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হঠকারি সিদ্ধান্তের কারণে দুই প্রান্তেই বাড়ছে অস্থিরতা। যদিও বাংলাদেশের প্রতিবাদের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ভারতের বিএসএফ।
বিএসএফ যখন বাংলাদেশের সাথে পেরে উঠছে না তখন ভারতের সীমান্ত দিয়ে একের পর এক পাগলবেশে ব্যক্তিরা প্রবেশ করছে বাংলাদেশের সীমানায়। বাস্তবে এদের দেখতে পাগল মনে হলেও আসলে তারা পাগল নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা এমন কিছু পাগল ধরা পরেছে টেলিভিশন ক্যমেরায়, যাদের মধ্যে কেউ কেউ কথা বলছেন হিন্দিতে।
ভারত থেকে কিভাবে এত পাগল দেশে প্রবেশ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে কুড়িগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নুসরাত জাহান জানালেন ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
হঠাৎ করে ভারতীয় এই ব্যক্তিরা কিভাকে বাংলাদেশে ঢুকছে, তাদের আসল উদ্দ্যেশ কী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।