জাতীয়সরকার

পিইসি পরীক্ষার পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পরীক্ষা নিতে নিতে শেষ করে দিচ্ছি বাচ্চাদের। খালি পরীক্ষা আর পরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যে পিইসি পরীক্ষা নেয়া হয়, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তিনিও (প্রধানমন্ত্রী) এর সঙ্গে একমত।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত ২৩তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, পিইসি পরীক্ষা থাকবে কি-না, তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অনেক মন্তব্য করেছেন, আলোচনা করেছেন। (বাচ্চারা) অনেক বেশি বই কাঁধে নিয়ে ঘোরে, কষ্ট হয়। আজকেও বিষয়টি বলেছেন। পরীক্ষা নিতে নিতে শেষ করে দিচ্ছি বাচ্চাদের। খালি পরীক্ষা, খালি পরীক্ষা। উনি মনে করেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে আরও নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করার জন্য। মূল কথা হলো-শিশুদেরকে এই ভার থেকে মুক্ত করতে হবে। তারা যেন খেলাধুলা করতে পারে। শিশুদের বইয়ের ভার কমাও, আনন্দে থাকতে দাও ইত্যাদি।’

‘বিষয়টি (পিইসি পরীক্ষা থাকবে কি-না) নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও বিভক্ত। কোনো বিশেষজ্ঞ বলে ভালো, কোনো বিশেষজ্ঞ বলে ভালো নয়। এটা আন্ডার রিভিউ (পর্যবেক্ষণে রয়েছে)’, যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘হাজারীবাগে যখন সব চামড়ার কারখানা ছিল, তাদের পাশে কিছু লোক ছিল যারা ট্যানারির মালিক না। তারা হাড়-গোড় দিয়ে বাই-প্রোডাক্ট শিল্প বানাত। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তারা সাভারে গেছে, সেখানেও তো এটা হবে। তাদের জন্যও তো ব্যবস্থা করা উচিত, তারা যদি ওখানে গিয়ে বাই-প্রোডাক্ট শিল্প গড়তে চায়।’

বিসিক (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) কর্তৃপক্ষ, শিল্পমন্ত্রী, শিল্প সচিব জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে জায়গা চিহ্নিত করেছেন। যারা যেতে চায়, তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে। এটা নির্দেশ না, অনুরোধ ছিল। তারা এই কাজটা করবে। কারণ, এর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =

Back to top button