পিপিই’র কথা বলে অন্য পণ্য বানাচ্ছে গার্মেন্টস মালিকরা: গাজীপুর এসপি
গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) বানানোর কথা বলে অন্য পণ্য বানানো হচ্ছে গাজীপুরে অনেক পোশাক শিল্প কারখানায়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শ্রমিকদের ডেকে এনে কাজ করালেও তাদেরকে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না। আগামীতে পোশাক কারখানা চালু করতে আরও শ্রমিকদের ডেকে আনা হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) দেওয়া একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরে আলোচনার সূত্রপাত হয়। বিজিএমইএ সভাপতি আগামী ২৬ এপ্রিল গাজীপুরে বেশ কিছু রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে শ্রমিকদের আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে এ চিঠি দেন।
কনফারেন্সে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর গাজীপুর ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন করে শ্রমিক আনা ঠিক হবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শ্রমিকদের থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে নির্দেশনা দেন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের চার জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের মাঠ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে একথা বলেন তিনি। সোমবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।