Lead Newsজাতীয়

পুলিশ বর্তমানে যে কোনও অপরাধ রোধ করতে সক্ষম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তথ্য বিনিময়ের জন্য পুলিশের এক হাজার কার্যালয়ে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) কানেক্টিভিটি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কানেক্টিভিটি হস্তান্তর করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কানেক্টিভিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পুলিশ বর্তমানে যে কোনও অপরাধ রোধ করতে সক্ষম বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রযুক্তির ফলে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। এই কানেক্টিভিটি বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের স্পর্শকাতর তথ্য আদান-প্রদানসহ অভ্যন্তরীণ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ কাজকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে যে কোনও অপরাধ রোধ করতে সক্ষম। কারণ তারা প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার জানে। এই প্রযুক্তি মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার। এর ফলে পুলিশ আরও অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে।’

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার অন্যতম কার্যক্রম এটি। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা অনলাইনে জিডি করার পাইলট প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্টদের এই পাইলটের ডেমো দেখিয়েছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে আমরা সারাদেশের থানাগুলোতে এই অনলাইন জিডির প্রযুক্তিটি পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারবো।’

এ সময় জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর ‘৯৯৯’-এর বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে ৯৯৯-এর সেবা নিচ্ছে। এই সেবা চালুর সময়কাল তিন বছরের কম। তবে এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি ৫২ লাখ ফোন এসেছে এখানে। এই সেবার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশের মানুষকে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি কলের পাশাপাশি ৯৯৯-এ কিছু অপ্রয়োজনীয় কলও আসে। এতে পুলিশ তথা কল সেন্টার এজেন্টদের সময় নষ্ট হয়। এ ধরনের কাজ যাতে না হয় সেজন্য আমরা জনগণকে সচেতন করবো। পাশাপাশি আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পদক্ষেপও নিতে পারি। সেসব দেশে যারা জরুরি সেবা নম্বরে অপ্রয়োজনে ফোন দেয় তাদের চিহ্নিত করে জরিমানা করা হয়। আমরাও ভবিষ্যতে এমন ব্যবস্থা নিতে পারি, যাতে কেউ ভুল তথ্য না দেয়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার দূরদৃষ্টির কারণেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পুলিশ এখন যে সেন্ট্রাল ক্রিমিন্যাল ডেটাবেজ তৈরি করেছে, সেটায় আস্তে আস্তে বিগডেটা অ্যানালিটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল অ্যানালিটিক্স ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই আইসিটি বিভাগ একটি বিগডেটা অ‌্যানালিটিক্স টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টিমের মাধ্যমে ৯৯৯ এবং পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল ডেটাবেজে বিগডেটা অ্যানালিটিক্স ও এআই ব্যবহার করা হবে।’ তিনি বলেন, অল্পদিনের মধ্যেই দেশজুড়ে ডিজিটাল জিডি সেবা প্রকল্পটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − five =

Back to top button