Lead Newsস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

প্রথম ধাপেই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে প্রথম ধাপেই বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো কোন দেশকেই ভ্যাকসিন ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়নি। তবে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। যখনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের কোথাও কাউকে ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমতি দিবে বাংলাদেশও সাথে সাথেই পেয়ে যাবে।’

রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ভ্যাক্সিন বিষয়ে আলোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রাইভেট হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতাল একযোগে মিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে হবে। করোনার এই দুঃসময়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং লক্ষাধিক করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এগুলো এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের কাজে লেগেছে।’

প্রাইভেট হাসপাতালগুলো যেভাবে সরকারের সাথে থেকে করোনার প্রথম পর্যায়ে কাজ করে গেছে দ্বিতীয় পর্যায়েও ঠিক সেভাবেই কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনায় মাস্ক ব্যবহার না করে মানুষ এখন টু মাচ কনফিডেন্ট এটিটিউট দেখাচ্ছে যা কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। এ কারণে সরকার এখন কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। করোনা থেকে বাচতে হলে এখন মানুষের মুখে মাস্ক পড়ার বিকল্প কিছুই নেই।’

করোনাতেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে ইউরোপ আমেরিকা দেখেন, পাশের দেশ ভারতে দেখেন। উন্নত দেশে প্রতি ১০ লাখে হাজারের মতো মারা গেছে। আমাদের এখানে ৪৫-৪৮ এর মতো। আমাদের অর্থনীতি গ্রোথ রেট ধরে রেখেছে, অনেক দেশ মাইনাসে চলে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। কোনো উন্নয়ন থেমে নেই। শুধু শিক্ষা পুরোপুরি করতে পারিনি, এখন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখন শীতকাল এসেছে। এই সময়ে দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সে কারণে করোনা বেড়ে যেতে পারে। সরকারি-বেসরকারিভাবে মিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে পারবো। আগে বেড বেশি ছিল না, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছিল না, এখন হয়েছে, ওষুধের অভাব নেই, ডাক্তার নার্সরা এখন অনেক বেশি ট্রেন্ড। টেলিমেডিসিন বাড়ানোর কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘লাখে লাখে হাসপাতালে গেলে পৃথিবীর কারো সক্ষমতা নেই নিয়ন্ত্রণ করার, বাংলাদেশেরও নেই। তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ কারণে জরিমানা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বাড়ছে, একইসঙ্গে মোকাবিলা করা জটিল, তবে এদিকে নজর রাখতে হবে।’

সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান করোনার প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর বিষয়ে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।করোনার প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন কিভাবে কাজ করে গেছে সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বক্তব্য রাখেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + twelve =

Back to top button