মেয়র হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের এক বছরের মাথায় মশা নিয়ন্ত্রণে সফলতার দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যাতে নগরবাসীকে ডেঙ্গুর পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে না হয়, সে জন্য শুরু থেকেই মশক নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি।”
“আল্লার রহমতে আমরা সফলতা পেয়েছি। যার কারণে গত এক বছর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আমরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।”
দায়িত্ব পালনের এক বছর উপলক্ষে গতকাল বুধবার নগর ভবনে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তাপস।
ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এইডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছিল বলে জানান তিনি।
“কিন্তু মার্চ মাসের ১৪ তারিখের মধ্যেই আমরা সব নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তার সুফল এপ্রিল মে মাস পর্যন্ত ঢাকাবাসী পেয়েছে।”
এবারে বর্ষায় ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, “গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও বক্স কালভার্টগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দায়িত্ব পেয়েই ২টি বক্স কালভার্ট ও ৪টি খাল হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করি। একইসাথে সেসব খালের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলে থাকা জায়গা পুনরুদ্ধার করেছি।
“এখন পর্যন্ত খাল ও বক্সকালভার্ট থেকে ১০ লক্ষাধিক টন পলি ও বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।১০৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি শুধু নালা-নর্দমাসহ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য। আশা করছি, এবারের বর্ষায় বহুলাংশে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত কতে পারব।”
গত এক বছরে ঢাকা দক্ষিণে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, “আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ-পার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে লক্ষ্মীবাজার খেলার মাঠ ও মালিটোলা পার্কের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।”
আরও ১০টি পার্ক ও সাতটি খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
মানিকনগর ও কাঁঠাল বাগান এলাকায় কাঁচা বাজারসহ মার্কেট নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও কথাও বলেন তিনি।
“এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হতে ১০ থেকে ১২টি স্থানে কাঁচা বাজার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত জমির মালিক বিভিন্ন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বিধায় তা সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”