ক্রিকেট

প্রোটিয়াদের কাছে হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

আগের চার ম্যাচে টানা জয় পেয়ে গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছিল ইংলিশরা। অপর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা আগের তিন ম্যাচে জয় ছিল। ইংল্যান্ডের সাথে ছিল তাদের চতুর্থ ম্যাচ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকা যদি ইংল্যান্ডকে ৮৭ রানের নিচে গুটিয়ে দিতে পারতো তাহলে কপাল পুড়ত ইয়ন মরগানদের। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় হারের পরও সেমি শুধু নিশ্চিতই নয়, গ্রুপ-১ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে ইয়ন মরগানরা।

শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারাজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর জবাবে ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। ফলে ১০ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা যদি ইংল্যান্ডকে ৮৭ রানের নিচে গুটিয়ে দিতে পারতো তাহলে কপাল পুড়ত ইয়ন মরগানদের। তখন ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে যাওয়া সহজ হতো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু ইংল্যান্ড ১৭৯ রান করায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত ইংলিশদের। আগেই সমীকরণ ছিল যে মরগানরা যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১০৬ বা তার বেশি রান করতে পারে তাহলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে যাবে। সেটিই করেছে তারা।

অপর দিকে শনিবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডকেও হারাল তারা। কিন্তু লাভ হলো না তাতে। হাসি ফুটল অ্যারন ফিঞ্চদের মুখে। দিনের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অসিরা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়ারা ইংলিশদের হারায় ঠিকই কিন্তু রানরেটের কারণে ফলাফল আসে উল্টো।

শনিবার রাতে টসে জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান ফিল্ডিং নেয়ায় কিছুটা সুবিধা পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় রান তোলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে সফলও হয় তারা। ১৫ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিক্সকে হারালেও কুইন্টন ডি’কক এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে প্রোটিয়ারা।

২৭ বলে ৩৪ করে ডি’কক সাজঘরে ফিরলে ডুসেনকে যোগ্য সঙ্গ দেন এইডেন মার্করাম। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন মার্করাম। ইংলিশ বোলারদের তুলোধোনা করে মাত্র ২৪ বলেই অর্ধশতরান করেন তিনি, যা কে এল রাহুলের পরে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম। এ সময় জ্বলে উঠে ডুসেনের ব্যাট। ৬০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন। যেখানে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল। ২৫ বলে ৫২ করে অপরাজিত থাকেন মার্করাম। এ দুই ব্যাটারের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের পাহাড় গড়ে তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৯০ রানের বড় সংগ্রহ তাড়ায় ভালো শুরু করে ইংল্যান্ড। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় রান চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন জেসন রয়। তিনে নেমে মঈন আলি ২৭ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। গত দুই ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরমার জস বাটলার ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি আজ।

লিয়াম লিভিংস্টোন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার এক ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন। ২৮ রানে আউট হন তিনি। অন্য দিকে দাভিদ মালান ৩৩ করে ফেরেন।

লিভিংস্টোনের ওই দ্বিতীয় ছক্কায় দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা শেষ হয়ে যায়। ১৩০ পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ডের রান। তবে সুপার টুয়েলভে অপরাজিত থাকতে পারেনি ইংল্যান্ড। রাবাদা নিজের শেষ ওভারে জ্বলে উঠেন। প্রথম তিন বলে ফিরিয়ে দেন ক্রিস ওকস, মর্গ্যান ও ক্রিস জর্ডানকে। তার বোলিংয়ের কারণেই প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেনি ইংলিশরা। ১০ রানে হেরে যায় প্রোটিয়াদের কাছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 1 =

Back to top button