দেশের অন্যতম পুরোনো পৌরসভা ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন করা হচ্ছে। তবে ফরিদপুর বিভাগের মর্যাদা পাওয়ার পরই সিটি করপোরেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া নতুন সাতটি পুলিশি থানা হচ্ছে। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিকারের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফরিদপুর দেশের অনেক পুরোনো একটি পৌরসভা। শর্তসাপেক্ষে এ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ফরিদপুরকে আগে বিভাগ ঘোষণা করা হবে। বিভাগ হিসেবে ফরিদপুরের কার্যক্রম শুরুর পরই সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।
নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও গাজীপুর বিভাগীয় শহর না হওয়ার পরও এগুলো সিটি করপোরেশন হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ফরিদপুরের বিষয়ে এমনটা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে বিভাগীয় শহরগুলোই হবে সিটি করপোরেশন। বিভাগীয় শহরের বাইরে আর কোনো সিটি করপোরেশন হবে না। এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, এ ছাড়া সভায় সিলেটের বিশ্বনাথপুরকে পৌরসভা করা ও নোয়াখালীর ভাষানচরসহ সাতটি পুলিশি থানা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিকার।
অপর থানাগুলো হলো−চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা, পদ্মা সেতুর উত্তরপাড়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানা, দক্ষিণপাড়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা, ঠাকুরগাঁওয়ে ভুল্লী থানা, রাঙ্গুনিয়া দক্ষিণ থানা ও কক্সবাজারের ঈদগাহ থানা।
নিকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদপুর হবে দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন এবং নবম বিভাগ।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর পৌরসভা। বর্তমানে এ পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এই বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ২০১০ সালে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেয়।